-
- জেলা সংবাদ, সারাদেশে
- ইসলামপুরে যমুনা নদীর ভাঙ্গনে আশ্রয়ন প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রাম বিলীন,আশ্রিতদের মানবেতর জীবন যাপন
- আপডেট সময় November, 7, 2022, 1:39 pm
- 105 বার পড়া হয়েছে
লিয়াকত হোসাইন লায়ন,ইসলামপুর(জামালপুর) প্রতিনিধি।। জামালপুরে ইসলামপুরে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে বিলীন হয়ে গিয়েছে আশ্রয়ন প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রামের ঘর। আশ্রয়স্থল টুকু হারিয়ে ফের নিঃস্ব-ভূমিহীন হয়ে পড়ছে আশ্রয়ণ প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রামেরর বাসিন্দারা। সবকিছু হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে ফের চলছে তাদের মানবেতর জীবনযাপন।
এলাকাবাসী জানান,গতবছর থেকেই উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়নের যমুনার উপার বেড়কুশা, চর কুলকান্দি,জিগাতলা গ্রামে ভাঙ্গন শুরু হয়। গত জুলাই মাসে বেড়কুশা এলাকার গুচ্ছ গ্রামের ১শত পরিবারের ঘর নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। গেল সপ্তাহে তীব্র ভাঙ্গনে চর কুলকান্দি গ্রামের ৫০ ঘর বিলীন হয়ে যায়। এছাড়াও জিগাতলা আশ্রয়ন প্রকল্পের আধাপাকা ১২০টি ঘর নদীর গর্ভে চলে গেছে।
এনিয়ে গত তিনমাসের ব্যবধানে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে নির্মিত জিগাতলা আশ্রয়ণ প্রকল্প ১২০টি ও চর কুলকান্দি ও বেড়কুশা মৌজায় ১০০ টি ও বেড়কুশায় গুচ্ছগ্রামের ৫০নিয়ে মোট ২৭০টি ঘর ও এলাকার শতশত বাড়িঘর, ফসলি জমি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে চলে যায়। প্রকল্পে আশ্রিত পরিবারগুলো সবকিছু হারিয়ে অন্যের জায়গায়,কেউবা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ভাঙনের কারণে বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছে কয়েক গ্রামের বাড়ি ঘর ফসলি জমি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
নদী ভাঙনে ইউনিয়নের স্থলভাগের মানচিত্র বিলীন হওয়ায় ইউনিয়নের সঙ্গে অন্য ইউনিয়ন এবং এক ওয়ার্ডের সঙ্গে অন্য ওয়ার্ডের সীমানা জটিলতায় রয়েছে।
কুলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান জানান, এলাকায় নদী ভাঙনে আশ্রয়ণ প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রামের ঘর বিলীনের সংবাদ পেয়ে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সম্পূর্ন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি জানান, আশ্রয়ন প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রামের ২৭০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। যমুনার ভাঙনে ইতোমধ্যে সবগুলো নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ঘরবাড়ি হারানো মানুষগুলোর মধ্যে অনেকেই অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান রুমান জানান, ইতিমধ্য চর কুলকান্দি ৫০টি ঘর নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে পরিদর্শন করেছি। আশ্রিতদের অন্যত্র স্থায়ী বসবাসের জন্য প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। তালিকা নির্ধারন করে দ্রুত সময়ের মধ্য ব্যবস্থা হবে আশা রাখছি।
এ জাতীয় আরো খবর